বিধানসভায় দম বন্ধ করে দেবো - সরকারপক্ষকে হুঁশিয়ারী রাজ‍্য বিজেপির সভাপতির

6th June 2021 9:18 am বাঁকুড়া
বিধানসভায় দম বন্ধ করে দেবো - সরকারপক্ষকে হুঁশিয়ারী রাজ‍্য বিজেপির সভাপতির


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :   'বিধানসভায় দম বন্ধ করে দেবো। বাইরেও আন্দোলন করবো'। শাসক দলকে ঠিক এই ভাষাতেই হুঁশিয়ারী দিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। শনিবার দলের সাংগঠনিক বৈঠকে যোগ দিতে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে এসেছেন তিনি। রবিবার সকালে প্রাতঃভ্রমণ সেরে শহরের পোড়ামাটির হাটে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি আরো বলেন, ৩৮ শতাংশ ভোট আমরা পেয়েছি, পশ্চিম বঙ্গের বাইরে হলে আমরা এই ভোটেই সরকার গঠন করতাম।

বিধানসভা ভোটে দলের ভরাডুবি প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে দিলীপ ঘোষ বলেন, 'বুথ স্তরে সংগঠনকে আমরা পোক্ত করতে পারিনি। সংঘর্ষের ভয় পেয়েছেন অনেকে, সেনিয়ে বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। জঙ্গল মহলে পঞ্চায়েত-লোকসভা ভোটে ভালো ফল করলেও বিধানসভায় খারাপ ফল হয়েছে। এক্ষেত্রে কর্মীদের অভিজ্ঞতা কম থাকাকেই তিনি দায়ি করেন।

একই সঙ্গে ফলাফল ঘোষণার দিন 'ভয়ে' গণণা কেন্দ্র থেকে বিজেপির প্রার্থী থেকে কাউন্টিং এজেন্ট অনেকেই গণণা কেন্দ্র ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ায় বেশ কিছু জেতার সম্মাবনা ছিল এমন কেন্দ্রেও হার হয়েছে বলে দাবি রাজ্য বিজেপি সভাপতির।

তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে আসা নেতাদের জন্যই এই 'হার' মানতে চাননি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, দলকে বড় করতে ঐ সব নেতাদের নেওয়া হয়েছিল। তাদের অনেকেই ভোটে জিতেছেন। তবে ফের কয়েকজনের  বিজেপি ছেড়ে যাওয়া সম্ভাবনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'যারা সুবিধা ছাড়া থাকতে পারেনা তারাই ফিরে যাবে' বলেও তিনি দাবী করেন





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।